অনেক সময় আমি

অনেক সময় আমি যখন গ্রন্থের থেকে মুক্তি নিয়ে
ঘাসের তরঙ্গ থেকে অবসর নিয়ে তার পর
এই সব প্রান্তরের একাকী অনেক ক্ষণ চেয়ে থাকি চুপে
ক্ষণিক কমলা-আলোর দিকে (রবাহূত) পশ্চিমের
তার পর যেই আলো কখনও কমলা নয় আর
পৃথিবীর কোনও স্থির মূল্যবান পাথরের মতো নয়
পৃথিবীর মতো নয়। শুধু কোনও নিরন্তর আগন্তুকের প্রিয় মুখে
এ-রকম প্রতিচ্ছবি দেখা যায়— যখন বিকেল হলে এক দিন
আবার সে সূর্যের মুখোমুখি চ’লে এসে ক্রমে
মাঠের লোষ্ট্রেরও যেন প্রাণ আছে ভেবে তার দিকে
চেয়ে থাকে; কিংবা জীবনের কোনও পরিচয় নেই জেনে— জন্তুর প্রাণে;
অথবা আমার প্রেমে;— এই ভেবে বড়ো সাদা সারসের মতো স্থিরতায়
সূর্যের সমস্ত গোল রেখার ভিতরে
মিশায়ে ফেলেছে তার অকৃত্রিম শরীরের রেখা
যেন কোনও পাত্রে জল— স্থিরতর জল,— ময়দানবের বৃত্তি দূরবিন
আমার নিষ্কর গ্রন্থ— অথবা আশ্চর্য বাতি আলাদিন যদি এনে দিত
অথবা পৃথিবী এই প’ড়ে র’বে সাধারণ ধারণার মতো চির-দিন
তখন এখানে তবু নির্জন গাছের ‘পরে হাত রেখে আমি
বিকেলের-সমুদ্রের-মতো শব্দ শুনি এই আবর্তিত পৃথিবীর
আর যার অনাত্মীয়ের মতো অন্য এক রোল
তাহাদের। সকলই গ্রথিত হয়ে আসে ধীরে বুধ— শুক্র— স্বাতী— মঙ্গল’এর
শৃঙ্খলার মতো খুলে কোনও এক কিমাকার গারগোয়ার মুখ থেকে
যেইখানে এই বৃক্ষ রয়ে গেছে— নদী আছে— আমি আছি— কিংবা কেউ নাই।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা