বটের শাখায়

বটের শাখায় দাঁড়কাক
কহিল: কোকিল বুঝি চ’লে যাবে শীত আসিতেছে ব’লে?… যাক
কোথাও যাব না আমি— র’ব এই মাঠে
হাটে
ঘাটে
আঁধারে বটের নীড়ে আশ্চর্য আস্বাদে দিন কাটে
চাই না শুনিতে আমি কোনও দূর বিদেশের বসন্তের ডাক—

এক দিন তার পর—
অঘ্রানের কুয়াশা আসিয়া গেছে হাড়ালো এ-পৃথিবীর ‘পর
দাঁড়কাক: দেখা হল তার সাথে সন্ধ্যার নদীর চরে
খড়ে;
ঘরে
এখুনি সে উড়ে যাবে খয়েরি চিলের সাথে বটের ভিতরে
মুখে ক’রে নিয়ে যাবে কয়েকটা উষ্ণ কুটা খড়—

আমিও এমন
ভালোবাসি পোড়ো ভিটা— কলমির মিঠা ফুল— এই মাঠ— আকন্দর বন
কোথাও দক্ষিণে দূরে এলাচি-ফুলের গন্ধে ভুলিতে চাই না এই শীত
নিভৃত
পীত
হিজল-জামের পাতা— ধুতুরার সাদা ফুল— শ্যামা-লক্ষ্মীপেঁচাদের গীত
নবান্নের নম্র গন্ধ— ইছেমতীটির মুখ হৃদয়ে তুলেছে শিহরন।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা