এ-দেশের কী-যে নাম

এ-দেশের কী-যে নাম জানি না ক’—
নীরবে বিকেলবেলা ঘুম থেকে উঠে
মনে হয় এই দেশ হৃদয়ের সহোদর
যে-সব অলীক আলো পশ্চিমে সূর্যের থেকে ঝরে
পৃথিবীর অন্য সব দেশে
এখানে পেয়েছে তারা শুদ্ধ অন্তঃসার।

এখানে দাঁড়ায়ে থেকে উঁচু-উঁচু গাছদের ছায়ার নিকটে
পরিমুক্ত জানালার কাছে এসে— গ্যাজেবো’র পাশে
মাঠের ভিতরে ঢিল আপনার নির্বাচনে প’ড়ে আছে দেখি
সকল সময় সব আকাশের মতো বড় প্রান্তরের মুখে
আবার প্রান্তর এসে শান্তি পায়— সর্বদাই— বিকেলের রোদে
সকলেই পরস্পরের দিকে ফিরে আছে— আর-এক রকম অনুভবে—
সহসা নগরী থেকে নেমে এসে এইখানে আমি তবু মুহূর্তেই ইহাদের
বস্তুসাধারণ; মনে হয় এইখানে পৃথিবীর আহ্নিক গতি
নীরব শূন্যকে নিয়ে চারি-দিকে নিমেষে সকল সময়
অবহিত মাছের ভিড়ের মতো শব্দহীনতায়
সিন্ধুকে শেখাতে আছে সন্তরণ— সময়কে।
আমি, তুমি, গ্রন্থ, মৃত্যু নক্ষত্রের চেয়ে দ্রুত হয়ে
ঘুমের মতন তবু মনীষীর— নীরব লোষ্ট্রের চেয়ে স্থির।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা